৪২৭ রোহিঙ্গা পরিবারসহ ভাসানচরে ভিড়েছে জাহাজ

৪২৭ রোহিঙ্গা পরিবারসহ ভাসানচরে ভিড়েছে জাহাজ

কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় দফায় তিন শতাধিক রোহিঙ্গা নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া প্রথম জাহাজ নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে নৌবাহিনীর জাহাজটি ভাসানচরে পৌঁছায়।

এ সময় নৌবাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের গ্রহণ করতে ঘাটে উপস্থিত হন। পর্যায়ক্রমে বাকি চারটি জাহাজে থাকা আরও প্রায় এক হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা ভাসানচরে এসে পৌঁছায়।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নৌবাহিনীর জেটি থেকে একে একে পাঁচটি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এসব জাহাজে কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা এক হাজার ৭৭২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যেতে যাত্রা শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা সমুদ্রে চলার পর জাহাজগুলো ভাসানচরে পৌঁছায়।

দফায় স্বপ্রণোদিত হয়ে ভাসানচর যেতে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির ত্যাগ করেছেন এক হাজার ৭৭২ জন রোহিঙ্গা। ৪২৭টি পরিবারের এসব রোহিঙ্গা সোমবার দুপুরেই বাসযোগে কক্সবাজার ছেড়ে চট্টগ্রাম আসেন। রাতে তাদের রাখা হয় বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে।

সরকারি বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় যেসব রোহিঙ্গা ভাসানচর যাচ্ছেন এর মধ্যে ১৩০ জনের বেশি রয়েছে যারা প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বজন। গত ২ ডিসেম্বরর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচর যান। তারাই সেখান থেকে ভিডিওকলের মাধ্যমে ভাসানচরের পরিস্থিতি দেখিয়ে স্বজনদের আসতে উদ্বুদ্ধ করে। বাংলাদেশ সরকার এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরের পরিকল্পিত আবাসনসহ আধুনিক সব জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করে রেখেছে।

গত ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। একই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।

কিন্তু ২০১৮ সালে যখন প্রথম তাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়, তখন থেকেই সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছিল রোহিঙ্গারা।