সাতক্ষীরায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিক্ষোভ

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালুর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলামসহ অন্য চিকিৎসকদের প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এদিকে ইন্টার্ন ডাক্তাররা তাদের হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের দিয়ে মহিলা ডাক্তারদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে। পরে উভয় পক্ষের আলোচনায় ইন্টার্ন ডাক্তাররা কোভিডের পাশাপাশি ননকোভিড চিকিৎসা সেবা ও জরুরি বিভাগ চালুর দাবিতে তিন কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছে।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষে মো. আমিনুর রহমান জানান, ২০১৪-১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতাল। কিন্তু জরুরি বিভাগ চালু করা হয়নি। যার ফলে ইন্টার্ন শেষ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা হাতে- কলমে অনেক কিছু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া সাতক্ষীরার ২২ লাখ মানুষ জরুরি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই দাবি নিয়ে তাঁরা বারবার দেন-দরবার করেও কোনো ফলাফল পাননি।

এদিকে, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি জরুরি বিভাগ চালুর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বারবার লেখালেখি করছেন। কিন্তু চিকিৎসক ও অন্য জনবল সংকট থাকায় জরুরি বিভাগ চালু করা যাচ্ছে না। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের সব কর্মচারীকে গেটের বাইরে বের করে দিয়ে গেট আটকে দেন। এ সময় তাঁরা বিক্ষোভ ও অবরোধ বহাল রাখেন।

খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান ও পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শান্ত করেন। পরে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে এক সভা আহ্বান করা হয়েছে। সে সময় বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।