রাজশাহীর পুঠিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষক নিহত

রাজশাহীর পুঠিয়ায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এখলাস আলী (২০) নামে এক ধর্ষক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ভোর রাতে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।

বর্তমানে তার মরদেহ পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

জানা যায়, রাজশাহীর পুঠিয়ায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া শ্যালিকা ইভাকে (১২) ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলার আসামি ছিলেন এখলাস। তিনি গন্ডগোহালী গ্রামের কাশেমের ছেলে।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ইভা তার বড় ভগ্নিপতি উপজেলার হলহোলিয়া গ্রামের এখলাস আলীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ সুযোগে এখলাস আলী জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় তার নাবালিকা শ্যালিকা ইভাকে ধর্ষণ করে। পরে ৯ এপ্রিল দুপুরে রামজীবনপুর গ্রামের নিজ বাড়ি ফিরে লোকলজ্জায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ইভা।

এ ঘটনায় এখলাস আলী ও তার বাবা-মাকে আসামি করে পুঠিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ইভা রাজশাহীর পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী ছিল।

ইভার আত্মহত্যার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আসামিদের আটক করতে না পারায় এ ঘটনায় বিচারের দাবি নিয়ে অবশেষে রাস্তায় নামে তার বাবা।

গত ১০ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে ইভার বাবা ভ্যানচালক সেলিম হোসেন বিচারের আশায় মেয়ের ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার নিয়ে একাই দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিবাদ জানান।