যশোরে রফিকুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৬ জন গ্রেফতার

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ জুলাই) দিনগত গভীর রাতে অভয়নগর ও মনিরামপুরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড গুলি ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। আটককৃতরা হলেন- হেলাল ভূঁইয়া (২০), মো. সেলিম (২২), হাসান আলী, সমীরণ পাঁড়ে (৫৪), হাদিউজ্জামান রানা (৪৪) ও তাপস মোড়ল (৩৮)।

পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন জানান, গত ৯ জুলাই দুপুরে মণিরামপুর উপজেলার কুচলিয়া এলাকায় খুন করা হয় রফিকুল ইসলামকে। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিরিনা আক্তার অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ০৬/০৯.০৭.২০২০) করেন। মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, কোতোয়ালি, অভয়নগর ও মণিরামপুর থানা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

এরপর গতকাল শনিবার অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হেলাল, সেলিম, হাসান আলী, সমীরণ পাড়ে, তাপস মোড়ল ও হাদিউজ্জামান রানা নামে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। একইসাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দোনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ ও তাদের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইলফোন সেট উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের চরমপন্থি সংগঠন নিউ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পরিচয় দিয়ে এলাকায় ঘের দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। নিহত রফিকও একসময় তাদের সদস্য ছিল। ঘটনার দিন তাকে টাকা ও মোবাইলফোন সেট দেওয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলে ডেকে এনে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করে।

গ্রেফতারকৃতরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেওয়ার জন্যে আদালতে পাঠানো হবে বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম, সালাহউদ্দিন শিকদার, ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মারুফ আহমেদসহ পুলিশ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, রফিকুল ইসলাম মণিরামপুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের আমারত বিশ্বাসের ছেলে।