মোবাইল ব্যাংকিং কমিশন দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোবাইল ব্যাংকিং খাতকে জনবান্ধব ও সেবামূলক খাতে পরিণত করতে পৃথক মোবাইল ব্যাংকিং কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এ দাবি জানায়।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং-এ দৈনিক লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৬০৫ কোটি টাকা। আর এ থেকে কমিশন বাবদ কোম্পানির নির্ধারিত রেট অনুযায়ী দৈনিক কমিশন আসে ১১ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার। যা মাসে দাঁড়ায় ৩৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা, বাৎসরিক দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। আর রিটেইলাররা এরপরে অতিরিক্ত আদায় করে থাকে ১২০ কোটি টাকা যা প্রকাশ্যে ডাকাতি ছাড়া আর কিছু নয়।

তিনি বলেন, সেন্ট মানি বাবদও কাটা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। যদি এ লেনদেন শুধু সেন্ট মানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে গ্রাহক এ থেকে উপকৃত হতো। কোম্পানিগুলো জনস্বার্থে কোনো কাজ না করে জনগণের পকেট থেকে তাদের নিজেদের প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন প্রচারে ব্যস্ত থাকে। ফলে প্রান্তিক অর্থনীতি আজ হুমকির সম্মুখীন। গত ৫ বছরে যে অতিরিক্ত সার্ভিস আদায় হয়েছে তা দিয়ে একটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেতো।

মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ প্রতি হাজারে প্রায় ২০ টাকা যা সাধারণ ব্যাংকিং লেনদেন চার্জের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। তাই মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ কমিয়ে আনারও দাবি জানায় সংগঠনটি।

অবিলম্বে মোবাইল ব্যাংকিং এর সার্ভিস চার্জ কমানো, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও আলাদা মোবাইল ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে এ খাতকে জনবান্ধব ও সেবামূলক খাতে পরিণত করার দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন- বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, জাগো বাঙালির সভাপতি ড. মেজর (অব.) হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেহেশতি মারজান, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন অর রশীদ খান।