মুখের চেয়ে জরুরি পায়ের যত্ন নেওয়া

শীত আসার আগেই আমরা সচেতন মুখের যত্ন নিয়ে। কিন্তু শীতে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা হয় পায়ের শুষ্কতা নিয়ে। পায়ের কোথাও সংক্রমণ হয়ে ঘা না শুকোলে, পা ফুলে গেলে, পা–আঙুল বা নখের রং বদলে গেলে, পা স্বাভাবিকের তুলনায় ঠাণ্ডা বা গরম হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শীতকালে পা ও পায়ের গোড়ালি ফাটা যেমন দেখতে খারাপ লাগে, সেটা যন্ত্রণারও। ছোটখাটো এ কৌশলগুলো মেনে চললে সহজেই শীতের সময়েও থাকবেন স্বস্তিতে। সুন্দর থাকবে পা দু’টি। শীত তো এসেই যাচ্ছে, আজ থেকেই যত্ন নেওয়া শুরু হয়ে যাক।

যেভাবে নিবেন পায়ের যত্নঃনিউ

১। প্রচুর পানি পান করুন
পানি পান করা আপনার পা এবং ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। প্রচুর পানি পান করুন, এতে আপনার ত্বক ভেতর থেকে সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকবে।

২। পেডিকিউর করুন
হিম হিম শীতের আবহাওয়ায় আপনার পদযুগলের জন্য পরম বন্ধু হতে পারে একটি দারুণ পেডিকিউর। পার্লারে গিয়ে খুব ব্যয়বহুল পেডিকিউর করতে না চাইলে ঘরে বসেই দারুণভাবে করতে পারেন এটি। যেখানেই করবেন, পরম যত্ন নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে করুন

৩। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম
শীতের সময় ঘুমানোর আগে অবশ্যই পায়ে খানিক ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ঘুমোবেন। এতে পা নরম ও কোমল থাকবে। আপনার পা অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে থাকলে বাদাম তেল কিংবা জলপাই তেল ম্যাসাজ করে ঘুমোতে পারেন।

৪। ভারী জুতা
স্লিপার পরে চলাফেরা খুব আরামদায়ক বটে কিন্তু শীতকালে এ অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো। পা ঢেকে রাখে এমন জুতা পরুন। বুট জুতা হলে আরও ভালো। এতে পাও ভালো থাকবে এবং ধুলা-ময়লাও লাগবে না। এটি শীতে পায়ের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।

৫। মোজার ব্যবহার
অনেকেই মোজা পরতে চান না। অন্তত শীতে পায়ে মোজা পরার অভ্যাস তৈরি করুন। যাতে আবহাওয়ার বৈরিতা থেকে রেহাই পাবে আপনার পদযুগল। বাজারে বেশ কিছু ডিজাইন ও রঙের মোজা পাওয়া যায়, পছন্দ করে কিনে নিন। বাসায় থাকলেও মোজা ব্যবহার করা যেতে পারে।

৬। হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট
পা ময়েশ্চারাইজ করার আগে গরম পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। এতে আপনার পা আরাম পাবে এবং আপনি সারাদিনের ক্লান্তি সহজেই দূর করতে পারবেন।