মিরপুরে দুই ফার্নিচার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর রাজধানীর মিরপুরের রোকেয়া সরণির দুটো ফার্নিচার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির দায়ে পৃথক মামলা দায়ের করেছে। উভয় ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান দুটো প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটো হলো জৈনপুর ফার্নিচার ও হোমউড ফার্নিচার। উভয়েই মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় অবস্থিত।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল (২৮ ডিসেম্বর) আকস্মিক অভিযান চালায়। এতে সংস্থার সহকারী পরিচালক মাহিদুল ইসলাম এতে নেতৃত্ব দেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোয়েন্দা দল জব্দকৃত কাগজপত্রের সাথে তাদের রিটার্নের সাথে যাচাই করে এবং দেখতে পায় যে তারা প্রকৃত বিক্রয় হিসাব গোপন করে কম মূল্য প্রদর্শন করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে।

জৈনপুর ফার্নিচার মার্চ ২০১৮ থেকে মার্চ ২০২০ পর্যন্ত দুই বছরে ভ্যাট দিয়েছে মাত্র ৫৩ হাজার টাকা।এই হিসেবে জৈনপুর ফার্নিচার মাসিক ভ্যাট প্রদান করে মাত্র ২০০০ টাকা। কিন্তু উক্ত সময়ে জব্দকৃত বিক্রি গোপন করেছে ৫.৮৮ কোটি টাকা। এতে ভ্যাট আরোপযোগ্য হয়েছে ৫৬.৮৭ লাখ টাকা। সময় মতো সরকারি কোষাগারে ভ্যাট জমা না দেওয়ায় উক্ত টাকার উপর মাস ভিত্তিক ২% হারে ২৪.৭৬ লাখ টাকা সুদসহ সর্বমোট ৮১.৬৩ লাখ টাকা আদায়যোগ্য।

অপরদিকে, হোমউড ফার্নিচার আগষ্ট ২০২০ থেকে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত চার মাসে ভ্যাট দিয়েছে মাত্র ৩২ হাজার টাকা। এই হিসেবে মাসিক ভ্যাট প্রদান করে মাত্র ৮ হাজার টাকা। কিন্তু উক্ত সময়ে জব্দকৃত বিক্রি গোপন করেছে ৭৭.৩৫ লাখ টাকা। এতে ভ্যাট ১১.৬০ লাখ টাকা আদায়যোগ্য।

উপরোক্ত দুটো প্রতিষ্ঠানে সর্বমোট বিক্রি গোপন করেছে ৬.৬৬ কোটি টাকা। এতে ভ্যাট আদায়যোগ্য ৬৮.৪৭ লক্ষ টাকা। সময়মতো সরকারি কোষাগারে ভ্যাট জমা না দেওয়ায় উক্ত টাকার উপর মাস ভিত্তিক ২% হারে ২৪.৭৬ লাখ টাকা সুদ টাকা আদায়যোগ্য।সে মোতাবেক প্রতিষ্ঠান দুটো সর্বমোট ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ৯৩.৪৭ লাখ টাকা।

ভ্যাট আইন অনুসারে ভ্যাট ফাঁকির দায়ে আজ প্রতিষ্ঠান দুটোর বিরুদ্ধে পৃথক দুটো মামলা দায়ের করা হয়েছে। চূড়ান্ত বিচারাদেশের জন্য সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেট (ঢাকা পশ্চিম) মামলা দুটো প্রেরণ করা হয়েছে। একাইসাথে তাদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করার জন্য ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে।