ফেনীর বালিগাঁওতে যুবলীগ নেতা জয়নালকে গুলি করে হত্যা : অভিযোগ শুসেন শীলের বিরুদ্ধে

ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনীর বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জয়নাল (৩৭)কে গুলি করে ও কুঁপিয়ে হত্যা করেছে স্বদলীয় প্রতিপক্ষরা। তিনি ইউনিয়ন  যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বালিগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী বাহার ও সাবেক সাংসদ জয়নাল হাজারীর কট্টর সমর্থক ছিলেন জয়নাল মেম্বার। তার সাথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক শুসেন শীল,  চেয়ারম্যান প্রার্থী অাবুল কালাম আজাদ ও স্থানীয় কামাল মেম্বারের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছে বলে জানিয়েছেন তার পিতা হাফিজ আহাম্মদ। তিনি আরো জানান ,মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় জয়নাল ফেনী থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে মধুয়াই বড় পোল নামক স্থানে পৌঁছলে  শুসেন ও কামালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সিএনজির গতিরোধ করে জয়নাল কে প্রথমে গুলি করে এবং পরে কুপিয়ে গুরতর আহত করে,  তার অাত্নচিৎকারে স্থানীয়রা বেরিয়ে এলে  বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা ।অভিযোগ শুসেন শীলের বিরুদ্ধে1
স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
স্থানীয়রা জানান, ঘাতকেরা সবাই শুসেন শীলের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। জয়নাল মেম্বার আওয়ামী রাজনীতির পোড়া খাওয়া নেতা হিসেবে পরিচিত, সাবেক সাংসদ জয়নাল হাজারীর পরিক্ষিত কর্মী ছিলেন। গত চারদলীয় জোট সরকারের পুরো সময়টা জয়নাল কারাগারে ছিলেন। জয়নাল নৌকা প্রতিকের পক্ষে কাজ করলেও শুসেন শীল প্রকাশ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর আনারশ প্রতিকের পক্ষে করার অভিযোগ রয়েছে। এ দিকে রাতে ফেনী সদর হাসপাতালের সামনে গনমাধ্যম কর্মীদের জয়নাল মেম্বারের পিতা ও ভাই হত্যার জন্য শুসেন শীল ও কামাল মেম্বার কে দায়ী করেছেন। তারা বলেছেন নৌকার প্রার্থী বাহারের পক্ষে কাজ করায় নিজাম হাজারীর অনুসারী শুসেন গং জয়নাল কে হত্যা করেছে। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে শুসেন শীলের মুঠোফোনে কয়েক বার ফোন দিয়েও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব মোরশেদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অালামত সংগ্রহ করেছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।