প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি জঙ্গী হারুন রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরন

সৈয়দ মনির অাহমদ,  সোনাগাজী ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হরকাতুল জিহাদ (হুজি) সদস্য আবু ওবায়দা প্রকাশ হারুন (৩৫) কে ৭ দিন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অাদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানান, চর ছান্দিয়া ইউপি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে হত্যা ও বিষ্ফোরন সহ কয়েকটি অভিযোগের ব্যাপারে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  রবিবার সকালে ফেনী বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট অাদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরন করা হয়।
উল্যেখ্য,  ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের শহীদ মিনার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক অাবুল কালাম অাজাদ জানান, সিলেটে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা, ৪জুন অনুৃষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে  সোনাগাজীর চর ছান্দিয়া ইউনিয়নের তোফায়েল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে হত্যা ও বিস্ফারণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরদিন মঙ্গলবার ফেনী বিজ্ঞ অাদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৫ বছর আগে সিলেটে শেখ হাসিনার সমাবেশে বোমা হামলার পরিকল্পনা করে জঙ্গিরা। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২৬ সেপ্টেম্বর সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভা ছিল।  তার আগেই সমাবেশের কাছাকাছি এক মেসে বোমা ফেটে দুই জঙ্গি নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় পালানোর সময় আরেক জঙ্গির সঙ্গে ধরা পড়েন হারুন।
পুলিশ জানায়, জামিনে ছাড়া পেয়ে হারুন  এলাকায় চলে আসেন। পরে স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন তিনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওই মামলায় তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি- সম্পাদক  তাঁকে যুবলীগ কর্মী হিসেবে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন। এই প্রত্যয়নপত্র আদালতেও জমা দেন তিনি। পরে তিনি আবার জামিন পান।
স্থানীয়রা জানান, তাঁর বাড়ি সোনাগাজী উপজেলার মধ্যম চর চান্দিয়া ডাক্তার পাড়া গ্রামে হলেও বেশ কিছু দিন ধরে ফেনী শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন এবং শাহিন একাডেমি সড়কে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক   তিনি। সে ওই গ্রামের হাবিবিয়া বাড়ীর মাওঃ অাবু তৈয়বের ছেলে। হারুন ছোট বেলা থেকেই চট্টগামের পটিয়া মাদ্রাসায় অাবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করতেন। মাদ্রাসার বন্ধুদের উদ্দেশ্যে সিলেট  যান,  সেখানে  জঙ্গী মেসে থাকতেন। সেখান থেকেই তার জঙ্গী কানেকশন শুরু হয়।