নারীর দৃশ্যপট পরিবর্তনে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকঃ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা নেতৃত্বের দিক থেকে পিছিয়ে আছে, যা দুঃখজনক। স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন খাতে সেবাদানকারী হিসেবে নারীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য হলেও তারা মাত্র ২৫ শতাংশ নেতৃত্বে আছেন। এ দৃশ্যপট পরিবর্তনে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এ সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা, অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রসারের মাধ্যমে অর্থনীতিতে তাদের অবদান ছিল লক্ষণীয়।

রোববার (৭ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘উইমেন ইন লিডারশিপ : হোয়াট ডাজ ইট টেক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় তাদের অবদান অনস্বীকার্য।

নারীরা পরিবর্তনের শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিনিধি মন্তব্য করে তিনি বলেন, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অধিকতর নারী নেতৃত্ব জরুরি। নারী নেতৃত্বের এ অগ্রগায়নে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। এজন্য বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও স্থানীয় অভিজ্ঞতার সমন্বয় দরকার।

সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য মূলধারায় নারীদের সম্পৃক্ততা জরুরি। পরিবারকে সামলানোর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করছে নারীরা। উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।

করোনা মহামারি মোকাবিলায় যথা সময়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে কমনওয়েলথ কর্তৃক চারজনের মধ্যে অন্যতম নারী নেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ইন্সপায়রেশনাল লিডারশিপ’ সম্মাননা অর্জন করায় তাকে (প্রধানমন্ত্রী) আন্তরিক অভিনন্দন জানান স্পীকার।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্যানেলিস্ট হিসেবে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেলিমা আহমেদ এমপি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা, বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি আমেনা বেগম, মিডওয়াইফারি অফিসার মোসাম্মৎ করিমা বেগম, অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কামরুন্নেসা মীরা মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, জাতিসংঘের বাংলাদেশের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্টরাসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।