টঙ্গীতে স্বামীকে গলাকেটে হত্যা, স্ত্রী গ্রেফতার

অমল ঘোষ, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুর নগরীর টঙ্গী হিমারদিঘী এলাকায় বুধবার সকালে পরকীয়া ও পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সাইফুল ইসলামকে (৫০) গলাকেটে হত্যা করেছে পাষন্ড স্ত্রী।

ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার ও একটি রক্তমাখা ছুরি জব্দ করেছে পুলিশ। ঘটনার পর অভিযুক্ত ঘাতক স্ত্রী বিউটি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত সাইফুল রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানার চাঁনবাগ গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে হিমারদিঘী এলাকার নিজামউদ্দিন রোডের হোল্ডিং নং ১৭/৮, আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার বাড়ির ভাড়া বাসায় বসবাস করতো সাইফুল। সে পেশায় একজন হকার এবং তার স্ত্রী বিউটি আক্তার স্থানীয় একটি গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।

স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের জের ধরে দীর্ঘদিন যাবত উভয়ের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিলো। প্রায়ই উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হতো। এরই জের ধরে সকাল ৭টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী বিউটি ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে স্বামীর গলাকেটে হত্যা করে।

পরে সে ঘর তালাবদ্ধ করে নিজ কর্মস্থলে চলে যায় এবং সকাল ১০টায় কারখানা থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় ফিরে আসে। পাশের ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি টের পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই মো. বাবুল মিয়াসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার, একটি রক্তাক্ত ছুরি জব্দ ও অভিযুক্ত ঘাতক স্ত্রী বিউটি আক্তারকে গ্রেফতার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নিহতের ছেলে আরিফ (১৬) জানান, মা-বাবা প্রায় সময়ই খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ ও মারামারি করতো। আজ (বুধবার) সকালে আবার ঝগড়া করে অফিসে যাওয়ার আগেই বাবাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে ঘরে তালা বন্ধ করে চলে যায় মা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।