কুয়েতে মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা আমির গ্রেফতার

কুয়েতে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা আমির হোসেন ওরফে সিরাজ উদ্দিন সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। বুধবার (১৯ আগস্ট) সিআইডির মিডিয়া সেলের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদেশী গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ৪ জন কুখ্যাত মানবপাচারকারী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার করে আসছিল। সূত্র হতে আরো জানা যায় যে, এ চক্রের সদস্যদের হাতে ৯শ’ এর অধিক ভিকটিম কুয়েতে পাচারের শিকার হয়। জন প্রতি ৬ লক্ষ বা তার অধিক টাকার বিনিময়ে তারা ভিকটিমদের কুয়েতে পাচার করে। উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েতে পাচারের পর ভিকটিমদের উপর নেমে আসে দুর্বিষহ জীবন। প্রতারিত বাংলাদেশি নাগরিকরা কুয়েতে কোন কাজের সন্ধান পায়নি, বরং সেখানে খাদ্য ও বাসস্থান সংকটের ফলে উদ্বাস্তু অবস্থায় কুয়েতের রাস্তায়- রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয়। চক্রটি কুয়েতে ভিকটিমদের বন্দী করে তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ গ্রহণ করে। তাছাড়া জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে উল্লেখিত ভিসাগুলো নেয়া হয়েছে মর্মে সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়।

এদের মধ্যে কয়েকজন ভিকটিম কুয়েতের সরকারী এজেন্সি ও জনশক্তি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে তারা বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। কুয়েত এজেন্সি তদন্তে চক্রটির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় এবং অভিযোগটির নিরিখে কুয়েতের আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে এ চক্রের ৪ সদস্যের (১ জন কুয়েতি ও ৩ জন বাংলাদেশি) বিরুদ্ধে কুয়েতের আদালত অভিযোগ আমলে নেয়।

ইতিমধ্যে উল্লেখিত আদালত তাদের ৩ বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে ৩ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। এ চক্রের অন্যতম সদস্য জনৈক কুয়েতি নাগরিক ৬ বছরের সাজা প্রাপ্ত হয়ে কুয়েতে কারা ভোগ করলেও সম্পৃক্ত ৩ বাংলাদেশী মানব পাচারকারী যে কোন উপায়ে দেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।