আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাঃ যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক চটেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ইসরাইল। রাশিয়া এবং চীনের ভেটোতে ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর, ইরানের বিরুদ্ধে আবারো নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা চালানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ইরান বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়াই প্রমাণ করছে, দেশটি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ১৫ সদস্যের পরিষদে মার্কিন প্রস্তাবের পক্ষে একটি মাত্র ভোট পড়ে। ফলে প্রত্যাখ্যাত হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব। এরপরই আবারো শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে বাকযুদ্ধ। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্যই তেহরান ইস্যুতে ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছে ওয়াশিংটন। পরে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়কে লজ্জাজনক বলে আখ্যা দেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য সদস্য দেশগুলোকে প্রভাবিত করতে যুক্তরাষ্ট্র অনেক চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। এটি আমাদের কূটনৈতিক সফলতা।

পাল্টা বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে আবারো চেষ্টা চালানো হবে। নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে না পারা, নিরাপত্তা পরিষদের বড় ভুল বলে উল্লেখ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। অন্যদিকে নিউ জার্সিতে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আগামী সপ্তাহেই ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ না বাড়ানোয়, মধ্যপ্রাচ্যে তেহরানের আগ্রাসন আরো বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু।